তাঁতের শাড়ী,তাঁতের কাপড় তো আমরা সবাই চিনি কিন্তু এই তাঁতের শাড়ী অথবা তাঁতের তৈরী বিভিন্ন কাপড় বানানোর আইডিয়াটা মানুষ কিভাবে পেলো এটা কি আমরা সবাই জানি???
এই বিষয়টা নিয়ে আজকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো…..
আসলে মানুষের মাথায় সর্বপ্রথম এই তাঁতের কাপড় এবং বিভিন্ন বস্ত্র বুননের ধারণা আসে মাকড়সার জাল বোনা,বাবুই পাখির বাসা বোনা এবং প্রানীজগতের হাজারো পশুপাখি ও কীটপতঙ্গের বাসা বুনন প্রক্রিয়া দেখে।মানুষ যখন দেখলো একটা পাখি, একটা পতঙ্গ কতো সুন্দরভাবে খড়কুটো দিয়ে একটু একটু করে তাদের বাসা বুনছে তখন মানুষও চিন্তা করলো এই প্রক্রিয়ায় তো বিভিন্ন ধরনের কাপড়ও বোনা সম্ভব।সেই থেকেই মানুষ চেষ্টা শুরু করে।
তারপর দীর্ঘকাল চেষ্টা করার পর মানুষ খুব সহজ ধরনের তাঁতযন্ত্র তৈরী করতে সক্ষম হয়।আসলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও কাপড় উৎপাদনের জন্য হাতেচালিত তাঁত বা হ্যান্ডলুম একটা প্রাচীন শিল্প।তাঁত শিল্পকে আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ এতোটাই ভালোবাসেন যে অনেক লস হওয়ার পরও তাঁরা এই তাঁত শিল্পকে আকড়েঁ ধরে বেঁচে থাকতে চায়।
আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলের তাঁতীরা হাতেচালিত তাঁতযন্ত্রে মোটা ও চিকন কাপড় তৈরী করছেন দীর্ঘকাল ধরে।বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটা জেলায় তাঁতী সম্প্রদায়ের লোক বাস করে।সর্বপ্রথম হাতেচালিত তাঁতযন্ত্রগুলো বানানো হতো গাছের ছাল,বাঁশ দিয়ে।এর সাথে আরো ব্যবহার করা হতো পাট বা গাছের বাকল।প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনার অনেক উন্নতি হয়েছে যার ফলে মানুষ আস্তে আস্তে এই সরল তাঁতযন্ত্রগুলোর গঠনে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।তাঁতযন্ত্রের গঠনে পরিবর্তনের ফলে যেটা হয়েছে তা হলো আগের চেয়ে উৎপাদন অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে….
বিঃদ্রঃ তথ্যগুলো গুগল থেকে নেয়া কিন্তু লেখাগুলো সম্পূর্ণ আমার নিজের মতো করে লেখা যেনো খুব সহজেই সবাই বুঝতে পারে…